প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, বাপাউবো, রাজশাহী‘র অধিক্ষেত্রভুক্ত নদ-নদী ও পানি সম্পদের ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনাধীন ও প্রণয়নাধীন প্রকল্পসমুহঃ
প্রস্তাবিত প্রকল্পের নাম |
: |
বড়াল নদীর অবিবাহিকায় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। |
পটভুমি |
: |
বড়াল নদী রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার পদ্মা নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে রাজশাহী জেলার চারঘাট, পুঠিয়া এবং নাটোর উপজেলার বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম এবং পাবনা জেলার চাট্মোহর, ভাঙ্গুরা উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাগমারা উপজেলার আত্রাই নদীতে পতিত হয়েছে। এছাড়া বড়াল নদী হতে হাপানীয়া নামক স্থানে নারদ নদ, পুরাতন নারদ নদ, নন্দকুজা নদী উৎপন্ন হয়েছে। ১৪৮.০০ কিঃমিঃ দীর্ঘ বড়াল নদী, ৭২.৬৩ কিঃমিঃ দীর্ঘ নারদ নদ এবং ৫.৬০ কিঃমিঃ দীর্ঘ মুসা খাঁ নদী পুনখননের মাধ্যমে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে পরামর্শ প্রতিষ্টান IWM কর্তৃক বিস্তারিত সম্ভাবতা সমীক্ষা সম্পাদিত হয়। সম্ভাবতা সমীক্ষার চুড়ান্ত প্রতিবেদন ডিসেম্বর, ২০১৮ সালে অনুমোদিত হয়। চুড়ান্ত প্রতিবেদনে বড়াল নদী এবং এর অববাহিকায় পানি সম্পদের ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে নিম্নরুপ সুপারিশমালা প্রণয়ন করেনঃ-
সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সুপারিশের আলোকে প্রণিত প্রকল্পের বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে যাচাই সভা গত ০৮/০২/২০২৩ খ্রিঃ অনুষ্টিত হয়। প্রকল্পের অর্থায়নের সুবিধার্থে বর্ণিত প্রকল্পটি অগ্রাধিকার অনুযায়ি দুইটি পর্যায়ে বিভক্ত করে ১ম পর্যায়ে প্রকল্পটি দ্রুত দাখিলের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে অনুষ্টিত যাচাই সভায় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। |
প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা |
: |
বড়াল নদীর অববাহিকার উন্নয়নে (১ম পর্যায়) প্রকল্পঃ পরামর্শক প্রতিষ্টান (IWM) কর্তৃক সম্পাদিত সম্ভাবতা সমীক্ষার সুপারিশের আলোকে রাজশাহী ও নাটোর জেলার অন্তর্বতী ৪৮.৫০ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যে বড়াল নদী, ৪৩.৬৩ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যে নারদ নদ এবং ৫.৯৮ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যে মুসা খান নদী পুনখনন এবং নারদ নদের উভয় তীরে ২০ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যে তীর সংরক্ষন কাজ, বড়াল নদীর উপর ৩ (তিন) ভেন্টের অতিরিক্ত রেগুলেটর নির্মাণের কাজ, বড়াল, নারদ ও মুসা খান নদীতে বিদ্যমান ২৬ টি অপ্রশস্ত ব্রীজ অপসারন এবং পুননির্মাণ ও জমি অধিগ্রহন প্রধান অংগ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে গত ০৮/০২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে অনুষ্টিত যাচাই সভার সিদ্ধান্তের আলোকে পুনগঠিত ডিপিপি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে ০৫/০৭/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় কর্তৃক কতিপয় নির্দেশনামুলক বিষয়ের আলোকে ডিপিপি পুনর্গঠনপূর্বক পুনগঠিত ডিপিপি পুনপ্রেরনের নির্দেশনা প্রদান করা হয় (পরিশিষ্ট-ণ, ডিপিপি পৃষ্ঠা নং-২৬৩, পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের পত্র)। বর্ণিত পত্রের নির্দেশনা প্রতিপালনপুর্বক (পরিশিষ্ট-থ, ডিপিপি পৃষ্ঠা নং-২৬৯, নির্দেশনা পত্রের বিষয়ে বাপাউবো’র প্রতিপালন) পুনগঠিত ৫৭৩৩৩.০৭ লক্ষ টাকার ডিপিপি পুনপ্রেরন করা হয়। প্রস্তাবিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ জানুয়ারি,202৪ খ্রিঃ থেকে জুন,২০২৭ খ্রিঃ পর্যন্ত। প্রথম পর্যায়ের এই প্রকল্পটি অনুমোদনের লক্ষ্যে বর্তমানে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় হতে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হবে।
বড়াল নদীর অববাহিকার উন্নয়নে (২য় পর্যায়) প্রকল্পঃ বড়াল নদীর অবশিষ্টাংশের পুনঃখনন এবং বড়াল নদীর আটঘরিয়া নামক স্থানে দুই কিঃমিঃ লুপকাট এবং প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহনের অঙ্গ সন্নিবেশপুর্বক “বড়াল নদীর অববাহিকার উন্নয়নে (২য় পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে প্রেরণের লক্ষ্যে ডিপিপি প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। |
ম্যাপ-১: বড়াল নদীর অববাহিকায় পানি সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের ম্যাপ |
প্রস্তাবিত প্রকল্পের নাম |
: |
উত্তর-রাজশাহী সেচ প্রকল্প। |
পটভুমি |
: |
পদ্মা নদীর ভূ-উপরিস্থ পানি দিয়ে বরেন্দ্র এলাকার তিন জেলার ৯টি উপজেলায় সেচের পানি প্রদান, ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরের উন্নয়ন, মৎস্য চাষের উন্নয়ন তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কারিগরি সম্ভাব্যতা ও যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষিতে উন্নয়ন সহযোগী Japan International Co-operation Agency (JICA) ১৯৭৭-১৯৯৭৮ সালে নিজস্ব অর্থায়নে একটি বিস্তারিত সম্ভাবতা সমীক্ষা সম্পাদন করেন। সমীক্ষার মূল প্রতিবেদন আগষ্ট, ১৯৮৮ সালে চুড়ান্ত হয়। উক্ত সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে ফেব্রয়ারী/১৯৮৯ সালে পিসিপি এবং অক্টোবর/১১৯০ পিপি প্রস্তুত পূর্বক পরিচালক, অথনৈতিক পরিকল্পনা পরিদপ্তর, বাপাউবো, ঢাকাতে দাখিল করা হয়। নভেম্বর/১৯৯৪ সালে ৪৪৯৪৫.২৫ লক্ষ টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় সম্বলিত একটি পিসিপি বোর্ড এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনে দাখিল করা হলে ৩০/০১/১৯৯৫ খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্পটির সামগ্রিক ব্যয় ২৯৯৬৭.৩৭ লক্ষ টাকা নির্দ্ধারণ পূর্বক পিসিপিটি পুর্নগঠন করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। সমীক্ষা পরবর্তী দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় পদ্ম-মহানন্দা নদীর Geo Morphological পরিবর্তনসহ প্রকল্প এলাকায় ভূমির ব্যবহারের পরিবর্তন এবং শস্য বহুমুখীকরনসহ কৃষিকাজে ব্যাপক পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে JICA কর্তৃক সম্পাদিত প্রকল্পের সমীক্ষা প্রতিবেদন রিভিউ করার জন্য 200৫ সালে পরামর্শক House of Consultanats Ltd.in association with Development Design Consultants Ltd. and Resources Planning & Management Consultants (Pvt.) Ltd. কে নিয়োগ প্রদান করা হয়। House of Consultanats Ltd. এর মূল রিপোর্ট জানুয়ারি, ২০০৬ সালে চুড়ান্ত করা হয়। এই সমীক্ষা প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে ১১০০৫৩.৭১ লক্ষ টাকার ব্যয় সম্বলিত প্রকল্প প্রস্তাবনা ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়। পরিকল্পনা কমিশনে দাখিল করা হলে স্থানীয় অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সুযোগ নেই মর্মে পত্র দেয়া হয় এবং বৈদেশিক সাহায্য প্রপ্তির ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করে ডিপিপিটি ফেরত প্রদান করা হয়। |
প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা |
: |
সর্বশেষ পুনঃগঠিত ১৬২৫৬৪.৪৪ লক্ষ টাকার পুনঃগঠিত ডিপিপি এবং উন্নয়ন সহযোগী কর্তৃক অর্থায়নের খোঁজে পিডিপিপি যথাক্রমে পরিকল্পনা কমিশন ও ERD তে প্রেরণ করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে “North Rajshahi Irrigation Project” শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বৈদেশিক সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দাখিলকৃত PDPP-এর ওপর পরিকল্পনা কমিশনে একটি আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রকল্পটি গ্রহণের পূর্বে ৩য় পক্ষের মাধ্যমে বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদনের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। এমতাবস্থায়, উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্পের হালনাগাদ সম্ভাবতা সমীক্ষাকরণ এবং পূর্ববতী সমীক্ষা রিভিউ করার লক্ষ্যে ৪৭৩.৯৩ লক্ষ টাকার সমীক্ষা প্রকল্পের অনুমোদন পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রস্তাবিত সমীক্ষার হালনাগাদ সুপারিশের আলোকে পুনঃগঠিত ডিপিপি দাখিল করা হবে। |
ম্যাপ-১: উত্তর-রাজশাহী সেচ প্রকল্পের ম্যাপ |
||
ম্যাপ-২: উত্তর-রাজশাহী সেচ প্রকল্পের ম্যাপ |
প্রস্তাবিত প্রকল্পের নাম |
: |
মহানন্দা এবং পদ্মা নদীর অববাহিকা ব্যবস্থাপনা প্রকল্প |
পটভুমি |
: |
মহানন্দা নদীঃ মহানন্দা নদী একটি ট্রান্স বাউন্ডারি নদী। এর উৎপত্তিস্থল ভারতে। রাজশাহী বিভাগে এই নদী চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলা দিয়ে প্রবেশ করেছে এবং পরবর্তিতে নদীটি গোদাগাড়ী উপজেলার দেবীনগড়ে পদ্মা নদীতে মিলিত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রবেশ মুখ হতে পদ্মা নদীতে এর আউটফল পর্যন্ত মহানন্দা নদীর দৈর্ঘ্য ৭৫.০০ কিঃমিঃ। চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মহানন্দা নদীর সঙ্গে পুনর্ভবা ও পাগলা নামক দুইটি নদী মিলিত হয়েছে। পদ্মা নদীতে পতিত হওয়া পর্যন্ত এই নদীর বেসিন এরিয়া ২০৬০০.০০ বর্গ কিঃমিঃ, যার মধ্যে ১১৫৩০.০০ বর্গ কিঃমিঃ ভারতে অবস্থিত। পদ্মা নদীঃ পদ্মা নদী একটি আন্তর্জাতিক নদী। এটি ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ হতে উৎপন্ন হয়ে উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড, পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ নামক স্থান দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পদ্মা নদী বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সাথে মিলিত হয় এবং পরে চাঁদপুরে পদ্মা নদী মেঘনা নদীতে পতিত হয়। |
প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা |
: |
চাপাইনবাবগঞ্জ জেলাস্থ মহানন্দা এবং পদ্মা নদী চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী এবং নাটোর জেলার অংশের বেসিনের সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় বিস্তারিত সম্ভাবতা সমীক্ষা সম্পাদনের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান IWM কে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। চলমান সমীক্ষাটি ডিসেম্বর, ২০২৩ এ সমাপ্তির জন্যে নির্ধারিত। চলমান সমীক্ষার সুপারিশের আলোকে মহানন্দা ও পদ্মা নদীর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, বন্যা ব্যবস্থাপনায়, নদী তীর ভাঙ্গন রোধসহ পানি সম্পদের ব্যবস্থাপনায় প্রকল্প প্রণয়ন করা হবে। |
ম্যাপ-১: মহানন্দা এবং পদ্মা নদীর অববাহিকা ব্যবস্থাপনা প্রকল্প ম্যাপ |
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS